সমস্ত লেখাগুলি

দেহদান মানবতার এক অঙ্গীকার -
পৃথ্বীশ ঘোষ
Nov. 20, 2024 | সামাজিক ইস্যু | views:9722 | likes:454 | share: 523 | comments:0

দেহদান ও চক্ষু দান এর কথা মনে পড়তেই প্রথম যে বাধার সম্মুখীন হই আমরা তা হল আজন্ম লালিত কিছু ধর্মীয় কুসংস্কার। যদি কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দান করি পুনর্জন্ম ( rebirth) হলে সেই অঙ্গ ছাড়াই প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মাতে পারে। তাছাড়া ধর্মীয় বাধা সামাজিক বাধা এগুলো এক এক করে আসে। যদি এসব বাধা  কাটিয়ে কেউ ইচ্ছে করলেই অনায়াসে এই মহৎ দানে ব্রতী হতে পারে। মরণোত্তর দেহদান হল মৃত্যুর পর শবদেহ ধর্মীয় প্রথাসিদ্ধ মতে সৎকার না করে চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্বার্থে দান করা।

যাঁর মৃতদেহ তিনি কিন্তু নিজে এই দান করতে পারে না, সেটাই স্বাভাবিক। কারন মৃত্যুর পর তিনি দান করবেন কি করে? কোন ব্যক্তি জীবিতকালে শুধুমাত্র তাঁর এই ইচ্ছার কথা অঙ্গীকারের মাধ্যমে জানিয়ে রাখতে পারেন শুধু। তাঁর ইচ্ছাপূরণের দায়টা কিন্তু নিকটজনের। আর এই ইচ্ছাপুরণটা যাতে হয় সেক্ষত্রে অঙ্গীকারকের একটা ভূমিকা আছে। তা হল এই অঙ্গীকারের বিষয়টি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। যা দিয়ে সে নিকটজনকে মোটিভেটেড করতে পারবে।

আমি 2010 সালেই গণদর্পন এর মাধ্যমে এই অঙ্গীকার করেছিলাম। আপনার প্রিয়জন যার ইতিমধ্যেই ব্রেন ডেথ হয়েছে তার সুস্থ সবল অঙ্গ দিয়ে অন্য আর একজন ভালোভাবে বাঁচতে পারবে। বলতে গেলে তিনি অন্য একজনের মধ্যেই স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবেন। আপনার প্রিয়জনের দুটি চোখ দুজন অন্ধ মানুষ কে পৃথিবীর আলো দেখাতে পারে । তাছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্রদের গবেষণায় নানাবিধ সাহায্য হয়ে থাকে।  যদি ইতিহাসের পাতায় ফিরে যাই পৃথিবীর প্রথম মরণোত্তর দেহদান হয় 1832 সালে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত চিন্তাবিদ জেরমে বেন্থাম এর। ভারতে 1956 সালে পুনের শিক্ষাবিদ পান্ডুরঙ শ্রীধর আপ্তে। পশ্চিমবঙ্গে 1990 সালের 18 ই জানুয়ারি সুকুমার হোমচৌধুরী।  পূর্ব অঙ্গীকার মতো সুকুমার হোমচৌধুরীর মরদেহ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে দান করা হয়।

1905 সালের 7 ডিসেম্বর প্রত্যঙ্গদানে ঘটে যুগান্তকারী ঘটনা। ঘটনাটি ঘটে চেকশ্লোভাকিয়ায় চক্ষু চিকিৎসক এডোয়ার্ড কনরাড জার্ম (Eduard conarad Zirm) হাত ধরে। 45 বছরের অ্যালোস গ্লোগা (Alois Gloga) কর্ণিয়াজনিত কারণে দুটি চোখেই দৃষ্টিহীন। তখন এডোয়ার্ড কনরাড জার্ম 11 বছরের কার্ল ব্রুয়ের ( Karl Brauer) একটি চোখের কর্ণিয়া নিয়ে অ্যালোস গ্লোগার চোখে প্রতিস্থাপন করেন। হ্যাঁ, এই কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন ছিল জীবিত মানুষের থেকে নিয়ে। আর এই ছিল একমাত্র প্রথম ও শেষ জীবিত কারো থেকে কর্ণিয়া সংগ্রহ করে কর্ণিয়াজনিত কারনে কোন ব্যাক্তিকে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন। দক্ষিণ ভারতের বিজ্ঞান আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ আব্রাহাম কোভুর ও আক্কা কোভুর। তাঁদের ইচ্ছানুযায়ী তাঁদের মৃত্যুর পর তাদের মরদেহও চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজে ব্যবহৃত হয়। ঘটনাটি ঘটে 1970 সালে। 1987 সালে শ্রীলঙ্কায় এল টি টি ই-র নেতা দিলীপ থেলাপ্পান অনশন চলাকালীন মারা যান। উনার অঙ্গীকার অনুযায়ী উনার মৃতদেহ জাফনা মেডিক্যাল কলেজে দান করা হয়। 

কোভিড মহামারীর মধ্যেই গনদর্পন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দেহদান আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্রজ রায়ের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর (13,may,2021) পর প্যাথলজিক্যাল অটোপসি করা হয়। এই প্রথম পূর্ব ভারতে কোনও কোভিডে মৃত ব্যক্তির প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি হয় বলে আরজি কর হাসপাতাল সূত্রে দাবি। মৃত্যুর সঠিক কারণ কী, কোভিডের কারণে মৃতের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়েছে, প্যাথলজিক্যাল অটোপসির মাধ্যমে তা জানা সম্ভব।

1994 সালে ভারত সরকার ‘দ্য ট্রান্সপ্লানটেশন অব হিউম্যান অরগ্যান অ্যাক্ট – 1994’ আইন চালু করেন। এই আইনের ফলেই সাধারণ মৃত্যুর পাশাপাশি মস্তিষ্কের মৃত্যুও স্বীকৃতি পায়। এরফলে যান্ত্রিকভাবে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ চালু রেখে মৃতের দেহ থেকে প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনে রাস্তা সুগম হয়। 1995 সালে আমাদের রাজ্য এই আইন গ্রহণ করে। কিন্তু 2010 সাল পর্যন্ত আমাদের রাজ্যে শুধুমাত্র কর্ণিয়া ছাড়া মৃতদেহ থেকে অন্যকোন অরগ্যান সংগ্রহ ও প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয় নি। ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী এস এস কে এম হাসপাতালে জয়দেব পালের মৃতদেহ থেকে লিভার সংগ্রহ করে সিরোসিস অব লিভারে আক্রান্ত জয়তী চট্টোপাধ্যায়ের দেহ প্রতিস্থাপিত হয়। নদীয়ার দীনেশচন্দ্র মোদক হঠাৎই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যান। তখন উনার একমাত্র কন্যা বন্দনা মোদকও বিকল দুটি কিডনী নিয়ে মৃত্যুর দিনের অপেক্ষায়। তখন চিকিৎসারত চিকিৎসক ডাঃ এম সি শীল মৃত দীনেশচন্দ মোদকের স্ত্রী লক্ষ্মীদেবীকে জানান যে উনার স্বামীকে ফিরে পাবেন না কিন্তু আপনি আপনার মেয়েকে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বাঁচাতে পারেন যদি দীনেশবাবুর মৃতদেহ থেকে কিডনী বন্দনার দেহে প্রতিস্থাপনের অনুমতি দেন। লক্ষ্মীদেবী অনুমতি দেন। বন্দনা আজো বেঁচে আছে আমার আপনার মতই। 


সাধারণ মৃত্যুর পর যেসব অরগ্যান নেওয়া সম্ভব


১) চোখ (গ্লুকোমা, ক্যানসার, হেপাটাইটিস, এইচ আই ভি বা সেপটোসেমিয়া থাকলে সম্ভব নয়) (একমাত্র কর্ণিয়া জনিত কারনেই দৃষ্টিহীন হলেই তাকে দৃষ্টি ফেরানো সম্ভব) (যদি কেউ কর্ণিয়াজনিত কারণ ছাড়া অন্যকারনে দৃষ্টিহীন হয় তবে সেই দৃষ্টিহীন ব্যাক্তিও চোখ দান করতে পারেন)। আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী ৪ ঘন্টার মধ্যে।

২) ৪ ঘন্টার মধ্যে অস্থি, ত্বক, ইয়ারড্রাম ও ইয়ার বোন।

৩) ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে কিডনী।


কিছু অরগ্যান যা রক্ত সঞ্চালন অবস্থায় সংগ্রহ করতে হয়।


সেগুলো হচ্ছে ১) কিডনী, ২) হার্ট ও হার্ট ভালভ, ৩) প্যাঙক্রিয়াস, ৪) অস্থিমজ্জা, ৫) রক্ত ও অনান্য সব।


এবার চক্ষুদান নিয়ে কিছু কথা বলি আপনার চোখে দৃষ্টি পাবে দৃষ্টিহীন কেউ। এই মহত কাজটি অনেকেই মৃত্যুর আগে নির্দ্বিধায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। কিন্তু অনেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিস্তর ভাবনাচিন্তা করে। কিন্তু ওই যে নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আর হয়ে ওঠেনা।

উল্লেখ্য, আমাদের দেশে চোখ দানের

প্রয়জনীয়তা রয়েছে। তবে পাশাপাশি, আসল প্রক্রিয়া, উপকারিতা, কল্পনা, মিথ এবং ঘটনাগুলি সম্পর্কে ভুলধারণা রয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ভারতে আনুমানিক ১৫ মিলিয়ন মানুষ দৃষ্টিহীন এবং ৩০ মিলিয়ন দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে লড়ে চলেছে।  ডাক্তার হর্ষবর্ধন ঘোড়পাদে বলেছেন  ভারতে চোখের দান সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার হয়না। কারণ এর চারপাশে বহু মিথ ও কুসংস্কার রয়েছে; চোখ দান সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করা উচিত। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে বিভিন্ন বিজ্ঞান ক্লাব গুলি । সেই সঙ্গে আমরা যতটা রক্তদানে আগ্রহী তার সিকিভাগ যদি এই ব্যাপারে উৎসাহী হই তাহলে সমাজের পক্ষেই মঙ্গল হবে । এখন তো বিভিন্ন ক্লাব তাদের রক্তদান কর্মসূচির মধ্যেই দেহদান ও চক্ষুদান কে অন্তর্ভুক্ত করছে আমি বলাগড়ে ব্লকে দেখেছি ।


●চোখ দানের পিছনে যে ভুল ধারণা রয়েছে দেশেজুড়ে তা হল -

◆চোখের দান করলে পরের জন্মে চোখ হবে না। মুখের আদল নষ্ট হয়ে যাবে। মৃত্যুর পরও যে জন্ম হয়, তার নিশ্চিত পরীক্ষামূলক তথ্য নেই। তাছাড়া বিভিন্ন কারনে অনেক সময় জীনগত কারনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।

◆সঠিক তথ্য- চক্ষু দান করলে মুখের চেহারা নষ্ট হয় না। কর্নিয়া নেওয়া হয়। যখন চোখ বন্ধ থাকে , তখন স্বাভাবিকই থাকবে।

●কোনও ব্যক্তি জীবিত থাকাকালীন তাদের চোখ দান করতে পারে।

◆সঠিক তথ্য: না। কিডনি বা যকৃতের কিছু অংশ জীবিত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তিকে দান করা যেতে পারে, তবে মৃত্যুর পরে চোখ দান করা হয়। আপনি জীবিত থাকাকালীন আপনার চোখ দান করার শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি দিয়ে অঙ্গীকার করতে পারেন।

● চক্ষু দান সমস্ত অন্ধ মানুষকে সাহায্য করতে পারে।

◆সঠিক তথ্য: শুধুমাত্র কর্নিয়ার অস্বচ্ছ ব্যক্তিরাই উপকৃত হতে পারে, অন্যদিকে রেটিনা বা অপটিক নার্ভের জন্য অন্ধত্ব এলে তারা চোখ দান থেকে উপকৃত হবে না।

● আপনি যদি রেটিনার রোগে ভোগেন বা আপনার চোখে শল্যচিকিৎসা হয়ে থাকে, আপনি দাতা হতে পারবেন না।

◆সঠিক তথ্য:  রেটিনা বা অপটিক নার্ভ সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের পর চোখ দান করা যায়।

● চোখ মৃত্যুর পরে যে কোনও সময় দান করা যায়।


◆সঠিক তথ্য: মৃত্যুর ৬ ঘন্টার মধ্যে কোনও দাতার কাছ থেকে চোখ সংগ্রহ করা দরকার। দাতার দেহকে শীতল পরিবেশে রাখা উচিত।   চোখ বন্ধ করা, আর্দ্র সুতির কাপড় চোখের উপরে রাখা এবং মাথার নীচে দুটি বালিশ রাখতে হবে। কারণ, স্থানীয় চক্ষু সংগ্রহ কেন্দ্র (হাসপাতাল) বা চক্ষু ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সময় প্রয়োজন। আর সেই সময় যাতে চোখ ঠিক থাকে তার জন্যই এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

●চোখ দান করে বিক্রি করা হয়।  

◆সঠিক তথ্য: যে কোনও মানব অঙ্গ বিক্রি ও ক্রয় করা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ; এটি একটি মহৎ কাজ এবং অনুমোদিত সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

শেষ করব বাংলাদেশের মুক্তমনা আরজ আলী মাতুব্বর দেহদান সম্পর্কে কি লিখেছেন আসুন জেনে নিই -


আরজ আলী মাতুব্বর (১৯০০–১৯৮৫)

আমাদের মত শিক্ষিত বলে কথিত সুশীলদের গালে সজোরে চড় বসিয়ে দিয়েছেন আরজ আলী মাতুব্বর। শুধু জীবিত অবস্থায় নিজেকে আর অন্যদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেননি, তিনি তার মৃত্যুর  সময়েও এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, যে সাহস এর আগে কোন শিক্ষিত সুশীলেরা করে দেখাতে পারেনি। পাঠক মনে রাখবেন বাংলাদেশ এর প্রেক্ষাপট ও তৎকালীন সময়ে মৌলবাদীদের অত্যাচার ।

তিনি তার মৃতদেহ কবরে দাফন না করে মানব কল্যাণে দান করার সিদ্ধান্ত নিলেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে লেখা  ‘কেন আমার মৃতদেহ মেডিকেলে দান করেছি’ শীর্ষক  প্রবন্ধে তিনি বলেন –


‘…আমি আমার মৃতদেহটিকে বিশ্বাসীদের অবহেলার বস্তু ও কবরে গলিত পদার্থে পরিণত না করে, তা মানব কল্যাণে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আমার মরদেহটির সাহায্যে মেডিক্যাল কলেজের শল্যবিদ্যা শিক্ষার্থীগন শল্যবিদ্যা আয়ত্ত করবে, আবার তাদের সাহায্যে রুগ্ন মানুষ রোগমুক্ত হয়ে শান্তিলাভ করবে। আর এসব প্রত্যক্ষ অনুভূতিই আমাকে দিয়েছে মেডিকেলে শবদেহ দানের মাধ্যমে মানব-কল্যাণের আনন্দলাভের প্রেরণা।’


মাতুব্বরের মৃতদেহ দানপত্রটি হুবহ তুলে দিলাম –  যা এখনো আমাদের মতো মানবতাবাদীদের জন্য অফুরন্ত প্রেরণার উৎস –


অধ্যাপক আহমদ শরীফ ( 1921 - 1999)

মাতুব্বরের মতো বাংলার বিবেক, অধ্যাপক আহমদ শরীফও তার মৃতদেহকে  মেডিকেল মানব কল্যাণে দান করে গেছেন। আরজ আলী মাতুব্বরের মৃতদেহ দানপত্রের মতো আহমদ শরীফের সম্পাদিত ( মৃত্যুর চার-পাঁচ বছর আগে)  তার ‘অছিয়তনামা’ আর ‘মরদেহ হস্তান্তরের দলিল’ দুটিও বাংলা আর বাঙালির মুক্তবুদ্ধির ইতিহাসে অনন্য কীর্তি।


অছিয়তনামায়  তিনি লিখেছিলেন –


“আমি সুস্থ শারীরিক এবং সুস্থ মানসিক অবস্থায় আমার দৃঢ় সঙ্কল্প বা অঙ্গীকার স্থির সিদ্ধান্ত-রূপে এখানে পরিব্যক্ত করছি।


আমার মৃত্যুর পরে আমার মৃতদেহ চিকিৎসাবিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের  অ্যানাটমি এবং ফিজিওলজি সংক্রান্ত কাজে ব্যবহারের জন্য ঢাকার ধানমন্ডিস্থ বেসরকারী মেডিকেল কলেজে অর্পণ করতে চাই। … চক্ষুদান এবং রক্তদান তো চালুই হয়েছে। চোখ শ্রেষ্ঠ প্রত্যঙ্গ, আর রক্ত হচ্ছে প্রাণ-প্রতীক। কাজেই গোটা অঙ্গ কবরের কীটের খাদ্য হওয়ার চেয়ে মানুষের কাজে লাগাই তো বাঞ্ছনীয়।”


জ্যোতি বসু (১৯১৪ – ২০১০)


২০১০ সালের ১০ই জানুয়ারি কলকাতার সল্ট লেকের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার পর কিছু সময় পরেই তাঁর চোখের কর্নিয়া অপসারণ করেন চিকিৎসকরা, তারপর তার দেহ ছাত্র ছাত্রীদের গবেষণার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।   জ্যোতি বসু জীবিত অবস্থাতেই বলে গিয়েছিলেন  এভাবে –


“জানিনা আমার অশক্ত শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কারো কাজে আসবে কিনা! কিন্তু আমার ঐকান্তিক ইচ্ছা যে আমার মরদেহ যেন অন্তত গবেষণার কাজে লাগানো হয়।একজন কমিউনিস্ট হিসেবে জানতাম জীবিতকালে মানুষের সেবা করতে পারব। মৃত্যুর পরেও যে মানবতার কাজে লাগা যাবে, এটা জেনে প্রফুল্ল বোধ করছি।”


প্রথমেই জানাই আপনি যদি মরণোত্তর দেহদান ও প্রত্যঙ্গদানের জন্য অঙ্গীকার করতে চান তবে যোগাযোগ করতে পারেন।


1- গণদর্পণ

৪, ডি এল খান রোড, কর্পোরেশন ব্লিডিং, কলকাতা – ৭০০ ০২৫

দূরভাষ – (০৩৩) ২৪৫৪ ০৮৯১ / ২৪১৯ ১১৬৫

http://www.ganadarpanindia.in/index.php

ওয়েবসাইট এ গিয়ে প্লেজ ফর্ম পাবেন ডাউনলোড করে নিন পছন্দ মত ভাষায়। ফিলাপ করে ওদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলে ওরাই আপনাকে একটি কার্ড পাঠিয়ে দেবে। গণদর্পণ কোন চক্ষু বা মৃতদেহ সংগ্রহ করে না। একমাত্র প্রত্যঙ্গদানের ক্ষেত্রে সহয়তা করে।

চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও এই কাজটা করতে পারেন। https://www.notto.gov.in

2- বাংলাদেশে যারা মরণোত্তর দেহদানে আগ্রহীঃ

জনবিজ্ঞান ফাউন্ডেশন

১০৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

বাংলামটর, ঢাকা

ফোন: ০১৫৫২৩৫৮০১৮

ইমেইল:

janabigganfoundation@gmail.com

ayubhoss@yahoo.com

3- Department of Anatomy, N.R.S. Medical College, 138, A.J.C. Bose Road, Kolkata - 700 014 Phone No. (033) 2265-3214 (EXTN.- 383)।

কলকাতার এন.আর.এস মেডিক্যাল কলেজ-এর Department of Anatomy থেকেও এই Pledge Formটি (একই ফর্মের দুটি কপি) সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারেন।


4- চক্ষু দান এর জন্য

RIO Calcutta Medical College & Hospital Eye Bank.

9433085756 / 9007064831 / 033-22123767 / 033-22413853


5- বর্ধমান

Durgapur Blind Relief Society

C/o: SDO Office

City centre, Pin – 713 216

(0343) 2572698 / 9732066165


6- জলপাইগুড়ি

Alipurduar Lions Eye Hospital

Chowpathi. P.O – Alipurduar Dist- Jalpaiguri Pin – 736 121

(03224) 255938


7- হুগলি

Doyen Dishani

37, Hanseswari Road, Banshberia, Hooghly, Pin – (033) 26344555 / 26527555 / 9433084563 / 9433052503


8- দার্জিলিং

Siliguri Lions Eye Bank

Hillcart Road, P.O – Shiliguri, Dist – Darjeeling

2511004 / 2519793


কলকাতা থেকে দূরে যাঁরা থাকেন তাঁদের অনুরোধ করব মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে আপনাদের নিকটবর্তী সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।


সূত্র-

1-সংশয় ডট কম/ মৃত্যুই শেষ কথা নয় ।

2- ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির ফেসবুক পেজ ।

3- 13/05/2021 এর আনন্দবাজার পত্রিকা ।

4- মুক্তমনা ব্লগ।

গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ভীতি -
পৃথ্বীশ ঘোষ
Nov. 19, 2024 | আইন | views:8560 | likes:0 | share: 0 | comments:0

গ্রেপ্তার কথাটা শুনলেই কেমন যেন বুকের ভেতরটা কেমন শূন্য হয়ে যায় তাই না। যাঁদের অভিজ্ঞতা আছে তাঁরা বিলক্ষণ জানেন। সেটা যদি হয় আবার মাঝরাতে ভুক্তভোগী মাত্রই এর স্বাদ বুঝেছেন। ধরুন আপনি সামাজিক মাধ্যমে কিছু লিখলেন যার সূত্র ধরে রাতে আপনাকে পুলিশ তুলতে এল তখন অসহায় হয়ে সাহায্য প্রার্থনা ছাড়া কি বা করার আছে বলুন। আমরা অনেকেই আইনের মারপ্যাচ বুঝি না। যেহেতু আমরা আইন বিরুদ্ধ কাজ করি না তাই আইন বোঝার চেষ্টাও করি না। তবুও আমাদের অনেক সময়  নানান চক্রান্তে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হয়।  সাধারণত আমরা জানি পুলিশ সন্দেহের বসে যেকোনও মানুষকে গ্রেফতার করে থানার লকআপে তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে পারে এবং করেও থাকে।  কিন্তু বাস্তবটা অন্যরকম। পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করতে পারে না 41CRPC নোটিশ না দিয়ে।

আমি নিজে ভুক্তভোগী আমাকেও এরকম তুলে নিয়ে গিয়ে পোস্ট ডিলিট করার জন্য চাপ দিয়েছিল আমার লোকাল থানার পুলিশ। রাজনীতি না করা স্বত্তেও একটা স্ট্রং রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস করি। তাই কিছু শত্রু সবসময় সমস্যা তৈরি করে গেছে তাদেরই কেউ উস্কে ছিল আমি নাকি ফেসবুকে দাঙ্গা ছড়াচ্ছি। আদতে ছিল দাঙ্গা রোধ করা নিয়ে পোস্ট একটু খুঁটিয়ে পড়লেই ব্যাটারা বুঝতে পারত। মূল বিষয়ে আসি যদি আপনার সঙ্গে বা পরিচিত কারুর সঙ্গে এরকম কিছু হলে কি করবেন দেখেনিন চট করে।

হঠাৎ গ্রেফতার হলে করণীয়:

অনেক রাত!  হঠাৎ কড়া নাড়ার শব্দ। দরজা খোলার সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে অথবা পোশাকে (সিভিক ও হতে পারে) একদল লোক আপনাকে বা আপনার পরিবারের কাউকে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে-

কে গ্রেফতার করতে পারে?

একমাত্র পুলিশ অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট, অথবা যার হাতে গ্রেফতার করার ওয়ারেন্ট আছে।

ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার:

কোনও সাধারণ ব্যক্তিকে পুলিশ একমাত্র তখনই  গ্রেফতার করতে পারে যখন সেই অভিযুক্ত ব্যক্তিটি কোনও জামিন অযোগ্য অপরাধ করে থাকে। একজন ম্যাজিস্ট্রেট (এক্সিকিউটিভ অথবা জুডিশিয়াল) কোন এরেস্ট ওয়ারেন্ট ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার করতে পারেন। কোনও অপরাধী সজ্ঞানে কোন অপরাধ করলে এরেস্ট ওয়ারেন্ট ছাড়াই অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারে।

বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বিনা ওয়ারেন্টে কাউকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। তবে, ওয়ারেন্ট বা বিনা ওয়ারেন্টে, কাউকে গ্রেপ্তার করতে গেলে অভিযুক্তকে অবশ্যই অ্যারেস্ট মেমো দিতে হবে। সেই অ্যারেস্ট মেমোতে দুই নিরপেক্ষ প্রাপ্ত বয়স্ক মানসিক ভারসাম্যযুক্ত নাগরিকের সই থাকতে হবে। অভিযুক্তকে বা যাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাকে যে অ্যারেস্ট মেমো দেওয়া হচ্ছে তাতে কী কারণের জন্য গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তার কারণ ও ভারতীয় আইনের ধারা বা সেকশন অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি তার মেডিকেল চেকআপ করাতে পারে। অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেফতারের পর পুলিশি জেরায় সময় চুপ থাকতে পারে। এই আইনি অধিকার তার আছে Section 20(3) পুলিশ সরকারি কাজের প্রয়োজনে বা কোন কিছু অনুসন্ধানে যে কোন ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠাতেই পারে। তবে ডেকে পাঠানোর ক্ষেত্রে যাকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে তাকে লিখিত কল মেমো দিতে হবে পুলিশকে, সেখানে ডেকে পাঠানোর কারণ লিখতে হবে বিশদ বিবরণ সহ। কল মেমো বা কোন উপযুক্ত কারন ছাড়াই যদি মাঝরাতে ডাকতে আসে আপনি যেতে বাধ্য নন। পরদিন সকালে অবশ্যই থানায় খোঁজ নেবেন।

কীভাবে গ্রেফতার করা হয়?

পুলিশ যদি কোনও অপরাধীকে ম্যাজিস্ট্রেটের অর্ডার নিয়ে গ্রেফতার করতে আসে তাহলে সেই অভিযুক্ত ব্যক্তির হাতে হট করে হাতকড়া পড়াতে পারবে না। অভিযুক্ত ব্যক্তির হাতে হাতকড়া পরানোর জন্য পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অনুমতি নিতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি গ্রেফতারের সময় কোনো সহযোগিতা না করে তাহলে পুলিশ যেন-তেন প্রকারেণ সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে।

এমন পরিস্থিতির শিকার হলে করনীয়:


একজন নাগরিক হিসেবে প্রথমেই আপনার জানার অধিকার রয়েছে কেন, কী কারণে আপনাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাই প্রথমেই জানতে চাইতে হবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগটি কী? আর তাদের সাথে গ্রেফতার সংক্রান্ত কোনো পরোয়ানা আছে কি না? মনে রাখবেন গ্রেফতারের কারন জানাতে আর প্রয়োজনে পরোয়ানা (যদি থাকে) দেখাতে পুলিশ বাধ্য। যদি তারা আপনাকে পরোয়ানা দেখাতে সক্ষম না হয় তাহলে বুঝতে হবে তারা আপনাকে বিনা পরোয়ানায় আটক করতে আসছে (ধারা ৫৪)। এই ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তাদের পরিচয় জানতে চাইবেন এবং তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইবেন।কোনও অভিযুক্তকে তখনই গ্রেপ্তার করা হয় যখন সেই অভিযুক্ত কোন অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত এবং উক্ত ব্যক্তির বিচারে উপস্থিতি প্রয়োজন। যতক্ষণ না আদালতে অপরাধীর দোষ প্রমাণ হচ্ছে ততক্ষণ অপরাধী র প্রতি কোনো খারাপ অমানবিক ব্যবহার করা চলবে না। অ্যারেস্ট  ওয়ারেন্টে অফিসারের সই থাকবে দেখে নিতে হবে কোর্টের সিল ও স্ট্যাম্প ডেট। যদি এগুলি না থাকে তাহলে বুঝতে হবে অ্যারেস্ট  ওয়ারেন্ট সঠিক নয়।একা একা কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরিবার-পরিজনকে সঙ্গে সঙ্গে খবর দিন। প্রয়োজনে আশপাশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীদের খবর দিন এবং যত পারা যায় লোকজন জড়ো করার চেষ্টা করুন। অবশ্যই উকিলকে খবর দিন রাত হলেও।

পুলিশ আপনাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে চায়, তাহলে আপনি একা তাদের সঙ্গে যাবেন না বলে তাদের জানিয়ে দিন এবং পরিবারের দু-একজনকে সঙ্গে নেবেন বলে তাদের জানান। প্রয়োজনে নিকটস্থ থানায় ফোন করে আপনার গ্রেপ্তারের বিষয়টি কনফার্ম করুন কেননা আজকাল পুলিশের ড্রেস পরে আততায়ী পর্যন্ত আসে। এবং থানা এ সম্পর্কে অবগত অছে কি না, তা জানার চেষ্টা করুন।

গ্রেফতার পরবর্তী পদক্ষেপ:

গ্রেফতার পরবর্তী আপনার আপনজনের প্রথম কাজ হল আইনি সহায়তার জন্য কোনো আইনজীবীর শরণাপন্ন হওয়া।কারন একজন আইনজীবীই এই ক্ষেত্রে আপনাকে সব থেকে ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন।গ্রেপ্তার হলে গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চালান দেবেন। এই সময় আইনজীবী আটক কৃত ব্যক্তির পক্ষে জামিনের আবেদন করবেন।কোনো কারণে নিম্ন আদালতে জামিন না হলে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। তাই সব সময় আইনজীবীর ফোন নাম্বারটি বাড়িতে জানাবেন।

বর্তমানে সব থেকে চিন্তার বিষয় হল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকে অপহরন এবং খুন।প্রথমেই বলে দি, সাদা পোশাকে ৫৪ ধারায় কাউকে আটক করা যাবে না। এ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২৪ মে আপিল বিভাগ রায় দিয়েছেন এবং কিছু গাইডলাইন দিয়েছেন, যা ১০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে পূর্ণাঙ্গ রায় হিসেবে প্রকাশিত হয়। তাই আটককারী তার পরিচয়পত্র দেখাতে অস্বীকার করলে এক্ষেত্রে আপনি আত্নরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিনামূল্যে একজন উকিলবাবুর পরামর্শ পাবার অধিকার আছে।

জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে থানাতেই জামিনের ব্যাবস্থা সুনিশ্চিত করা আপনার অধিকার।


কোন ব্যক্তি নিখোঁজ থাকলে কি করবেন:

কোন ব্যক্তি নিখোঁজ থাকলে পার্শ্ববর্তী থানায় প্রথমে খোঁজ করতে হবে। যদি কোন সংবাদ পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে উচ্চ আদালত অর্থাৎ হাইকোর্ট বিভাগে জরুরী ভিত্তিতে রীট করতে পারে। অবৈধ আটকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর আইনি পদক্ষেপ হচ্ছে “হেবিয়াস কর্পাস” রীট করা। হেবিয়াস কর্পাসের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে “সশরীরে হাজির করা”।

যখনই আদালতে নিখোঁজ কোন ব্যক্তি সম্পর্কে আবেদন করা হয় যাকে সর্বশেষ পুলিশের হেফাজতে দেখা গেছে তখন আদালত পুলিশকে আটকৃত ব্যক্তিকে সশরীরে হাজির করার জন্য সমন জারি করে। এমনকি আটকাদেশ যদি অবৈধ প্রমাণিত হয় তাহলে ভিকটিমকে ক্ষতিপূরণ প্রদানেরও নির্দেশ দিতে পারে উচ্চ আদালত।

সার্চ ওয়ারেন্ট:

আমরা অনেকেই কমবেশি জানি সার্চ ওয়ারেন্ট এর ব্যাপারে কিন্তু হঠাৎ করে আপনার বাড়ি, দোকান তল্লাশি বা সার্চ করতে চাইলে সেক্ষেত্রে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে হবে পুলিশকে অবশ্যই এবং যে ব্যক্তির বাড়ি, দোকান ঘর, গুদাম বা অফিস ইত্যাদি তল্লাশি বা  সার্চ করা হচ্ছে, তাকে সার্চ ওয়ারেন্টের  একটি কপি অবশ্যই দিতে হবে। এখানেও সিল স্ট্যাম্প ডেট সিগনেচার ভালো করে খুঁটিয়ে দেখতে হবে।


সার্চ ওয়ারেন্টের সময়সীমা:

এখানে উল্লেখ্য যে সময়টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যে কেউ সার্চ ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে পারে না, তা করবে আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট। সেই সার্চ ওয়ারেন্ট যখন থেকে  ইস্যু করা  হবে সেই সময় ও দিন থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তল্লাশি অভিযান বা সার্চ অপারেশন শুরু করতে হবে পুলিশকে। ৪৮ ঘন্টা হয়ে গেলে, সেই পুরানো সার্চ ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে কোনো তল্লাশি অভিযান বা সার্চ অপারেশন করতে পারে না পুলিশ।

ডকুমেন্ট:

নথি সংগ্রহ করা একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের কর্তব্য। গ্রেফতারের সময় আপনাকে কোন কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে, গ্রেফতারকারী অফিসারের নাম, গ্রেফতারের সময় সম্পর্কিত লিখিত মেমো পুলিশ আপনাকে দিতে বাধ্য। মামলা আদালতে যদি বিষয় গড়ায় তবে মামলার ক্ষেত্রে এটির গুরুত্ব অপরিসীম।


থানার লকআপে হেনস্থা:

আপনাকে গ্রেফতার করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনাকে যে থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে সেই থানার অন্তর্গত বিচারাধীন ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে হাজির করতে বাধ্য। ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া আর একদিনও আপনাকে অতিরিক্ত আটকে রাখতে পারে না থানার লকআপে। যদি কোনও কারনে আদালতের কাজকর্ম বন্ধ থাকে বা ছুটি  থাকে,তাহলে সেক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেটের বা বিচারকের সরকারি ঠিকানা বা  বাড়িতে আপনাকে হাজির করাতে হবে।


মহিলা পুলিশ:

মহিলা পুলিশ ছাড়া কোনওভাবেই কোনও মহিলাকে গ্রেফতার বা তল্লাশী চালানো যায় না।এক্ষেত্রে আপনি মহিলা হলে অবশ্যই মহিলা পুলিশ দিয়ে আপনাকে গ্রেফতার বা তল্লাশি করাতে হবে।একজন মহিলাকে শুধুমাত্র মহিলা পুলিশই  আটকাতে অথবা অ্যারেস্ট করতে পারেন, কোনো পুরুষ পুলিশ সেই কাজ করলে দণ্ডনীয় অপরাধ। CRPC ৫১(২) ধারা অনুসারে ধৃত মহিলার দেহ তল্লাশি করার অধিকারও নেই পুরুষ পুলিশের। এই কাজটি একমাত্র মহিলা পুলিশরাই করতে পারেন এবং সেটা যেন শোভনীয়তার মাত্রা না ছড়ায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে মহিলা পুলিশকে।


According to Section 46(4) of the Criminal Procedure Code, 1973 which governs the arrest of women, It is specifically mentioned that “Save in exceptional circumstances, no woman can be arrested after sunset and before sunrise, and where such exceptional circumstances exist, the woman police officer shall, by making a written report, obtain the prior permission of the Judicial Magistrate of the first class within whose local jurisdiction the offence is committed or the arrest is to be made.

আইন অনুযায়ী যতক্ষণ আপনি পুলিশ লকআপে থাকবেন,ততক্ষণ পুলিশ আপনাকে কোনওপ্রকার শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার করতে পারে না। এমনকি চড় মারতেও পারে না গালাগালি তো দূরে থাক।


পুলিশ হয়রানি করলে কী করবেন?

সাধারণত সরকার বিরোধী কোনও মতামত পোষণ করলে পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করতে পারে না। কারণ বাক স্বাধীনতার অধিকার আমাদের সংবিধান স্বীকৃত। কিন্তু পুলিশ মামলা দায়ের করে অন্য ধারায়। আপনি পুলিশী হয়রানির শিকার হতে পারেন যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিম্নলিখিত অপরাধ করে থাকেন। আপনি যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্টে অশ্লীল কোনও শব্দ ব্যবহার করেন যার ফলে অন্য কোন ব্যক্তি অপমানিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে।

o প্রমাণ ছাড়া ভিত্তিহীন ভাবে কোনও ব্যক্তিকে অপমান বা তার অসম্মান করার চেষ্টা করলে।

o কোনও ব্যক্তির চরিত্রহনন করে অসম্মানজনক কিছু লিখে বা ছবি পোস্ট করলে।

o সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে এইরকম কিছু পোস্ট করলে।

o ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করে এমন কিছু পোস্ট করলে।

o সোশ্যাল মিডিয়ায় পর্ণগ্রাফি কিছু পোস্ট করলে আপনি গ্রেফতার হতে পারেন।

তাই এই সমস্ত বিষয়গুলি এড়িয়ে চলুন একজন দায়িত্ববান সচেতন নাগরিক হিসাবে। আপনার নির্বুদ্ধিতামূলক কাজকর্মের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় পুলিশের হাতে অস্ত্র তুলে দেবেন না। অবশ্যই কোনও  উকিল বন্ধু বা স্থানীয়  কোন মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী এবং মিডিয়ার ফোন নাম্বার রাখুন এবং প্রয়োজনে তাদের ফোন করুন।বাড়ির লোককেও নাম্বারগুলি দিয়ে বলে রাখুন আপনাকে পুলিশ তুলে দিয়ে গেলে এই নাম্বারগুলিতে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করতে।

CPDR এর কেন্দ্রীয় অফিস

Committee for the Protection of Democratic Rights

Contact Address: Adv Suresh Rajeshwar,

4th Floor, Poddar Chambers,

S. A. Brelvi Marg, Fort,

Mumbai – 400 001

Fax: +9193224045911

Email: cpdr2014@gmail.com


এবং


NHRC / National Human Rights Commission-এর পূর্বভারতীয় শাখার Special Rapporteur:

Shri Damodar Sarangi, IPS (Retd)

(M) 9777579400, 9040079404

sprep2.nhrc@nic.in

dssarangi@yahoo.com


অথবা

Head Office:

National Human Rights Commission, Manav Adhikar Bhawan Block-C, GPO Complex, INA, New Delhi – 110023

For Complaints: Tel. No. 24651330, 24663333. Fax No. 24651332


কোনও ব্যক্তি পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন জানতে পারা মাত্র তার পাশে দাঁড়ান। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে খবরটি ছড়িয়ে দিন।

মনে রাখবেন, আপনি যদি অন্যের পাশে না দাঁড়ান তাহলে আপনার বিপদে আপনার পাশেও কেউ দাঁড়াবে না।

সূত্র-

১- https://www.ainbisharod.com/

২-আইনি পরিষেবা ও আপনার অধিকার

৩-পুলিশের কর্তব্য

একবিংশ শতকের নতুন আতঙ্ক সিএএ -
পৃথ্বীশ ঘোষ
Nov. 19, 2024 | সামাজিক ইস্যু | views:87 | likes:0 | share: 0 | comments:0

ছোটবেলায় যখন লেখা পড়া শুরু করেছিলাম তখন বই খুললেই প্রথমে সংবিধান এর প্রস্তাবনা দেখে দেখে মুখস্ত হয়ে গেছিল। তাতে সমানাধিকার এর কথা থাকত। বর্তমান শাসক শ্রেণী ধর্মীয় মেরুকরণ ও জাতপাত নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে এই সমানাধিকার এর ব্যাপারটাই গুলিয়ে দিতে চাইছে। যে রাষ্ট্রে সাক্ষরতার হার খুব সন্তোষজনক নয় তাদের কত শতাংশ মানুষ যে এটা বুঝবে সন্দেহ। আমাদের দেশে বিল (সি এ বি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) টি খুব কম লোকেই পড়েছে বেশিরভাগ লোকেই কিন্তু শাসক বিরোধী বক্তব্য শুনে বিভ্রান্ত এমন অবস্থায় 2019 সালের 11 ডিসেম্বর গভীর রাতে পাস হয়ে গেল। বিলের উদ্দেশ্য 1955 সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব  লাভের সুযোগ রয়েছে। মুসলিমদের জন্য এখানে কোন সুযোগ রাখা হয়নি। শাসকশ্রেণী বোঝাল এতে হিন্দুদের কোন অসুবিধা নেই খালি ঘুসপেটিয়া দের তাড়িয়ে দেওয়া হবে, ওহ কি মজা। বিধি বাম। 31 আগস্ট 2019 আসাম এনার্সির তালিকা থেকে দেখলাম 19 লক্ষ মানুষের নাম বাদ। পাঠক এতটুকু শুনেই অবাক হচ্ছেন আর একটা তথ্য পেশ করি তার মধ্যে 12 লক্ষ হিন্দু বাঙালির। আপনি ভাবলেন বিজেপি তো হিন্দু দের কিছু করবে না বেছে বেছে মুসলিম দের তাড়াবে, আজ্ঞে না এরকম কোন দিবাস্বপ্ন দেখলে এখুনি বেরিয়ে আসুন। বাংলার এক গো নেতা সেদিন বললেন এনার্সি হলে নাকি 2 কোটি লোকের নাম বাদ যাবে। এই আনন্দে রাম্ভক্ত হনু ভক্ত গো সন্তান রা যদি আনন্দে আমোদে ফেটে পড়ে কিছুদিন বাদে এনার্সি লাগু হলে তাদের কয়েকজন এর নাম বাদ যায় তাহলে কারা বাঁচাবে?? যেমন টা আসামে বিজেপি নেত্রী ববিতা পাল এর নাম বাদ গেছে। ইনি কিন্তু এনার্সি র পক্ষে জোরদার প্রচার চালিয়েছেন।


সিটিজেন আমেন্ডমেন্ট আইন চালু হলে কতজন বাঙালি নাগরিকত্ব পাবে ? মাত্র 31 হাজার 313 জন। এর ভেতরে আপনার নাম থাকবে তো? কিছুদিন আগেই টাকলুভাই বললেন যে আধার ভোটার নাকি নাগরিকত্বের পরিচয় নয়। মানছি আধার শুধু পরিচয় কখনোই নাগরিকত্ব নয়। তাই বলে ভোটার কার্ড? উনি আরো বলেন অত্যাচারিত হয়ে যে এসেছে সে হিন্দু হলে তার হিন্দুত্বের প্রমান।  এরা কখন কি বলে মানুষ কে বিভ্রান্ত করে দেবে আপনি সেই বিভ্রান্তির মধ্যেই নিজ দেশে নিজেই বিদেশি হয়ে যাবেন ধরতে পারবেন না। খুব সুচতুর গেম প্ল্যান কষে এগোচ্ছে আরএসএস এন্ড কোং। মানুষের বেসিক চাওয়া শিক্ষা স্বাস্থ্য বাসস্থান চাকরি এগুলো থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই পাকিস্তানএর সঙ্গে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, 370 ধারা, নাগরিকত্ব, দেশীয় সংস্থা বিক্রি আর বিভিন্ন অবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আবিস্কার যেমন গরু র দুধে সোনা, মহাভারত এ ইন্টারনেট, হাস জলে অক্সিজেন ছাড়ে এরকম কত কি। যে নাগরিকদের বৈধ ভোট দিয়ে গেরুয়া বাহিনী কে ক্ষমতায় আনল আজ তারাই দাবী করছে আপনি নাগরিক নন। বাহ চমৎকার এই তো গোলওয়ালকর, সাভারকার দের শিক্ষা। দিল্লির নির্বাচনী ফলাফল পরিষ্কার মানুষ জাত পাত, ধর্মের রাজনীতি পছন্দ করছে না।  হেঁয়ালি ছেড়ে পরিষ্কার কথায় আসি ধরুন আপনার পরিবারের 4 জনের নাম বাদ গেছে এবার নিয়ম মতো আপনাকে কাগজপত্র নিয়ে 120 দিনের মধ্যে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল এ আপীল করতে হবে নিজেদের ভারতীয় প্রমান করার জন্য।সেখানকার রায় আপনার বিপক্ষে গেলে হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিমকোর্ট। হাইকোর্ট এ আবেদন করতেই লাগবে 19 থেকে 20 হাজার টাকা জনপ্রতি। সুপ্রিমকোর্ট ছেড়েই দিলাম এবার বলুন তো দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে 4 জনের যদি এরকম অবস্থা হয় আপনার মৃত্যু ছাড়া আর কোন রাস্তা খোলা থাকবে কি? রাতের ঘুম উড়িয়ে আপনাকে পুরে দেবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। সেখানে আপনারা কেউ একসঙ্গে থাকতে পারবেন কিনা সন্দেহ। যারা আসামের হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেয় নি তারা কি করে বাঙালি হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেবে? বিজেপির বাবার ও ক্ষমতা নেই দেবার আইনের নিয়ম অনুযায়ী। বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা যায় যে শরণার্থী ও নাগরিকত্ব এক জিনিস নয়। একজন নাগরিক সে যে যে সুবিধা পাবে একজন শরনার্থী সেগুলো পাবেনা। ভোটদান এর সুযোগ, শিক্ষা স্বাস্থ্য বাসস্থান এগুলোর কোন দাবী একজন শরনার্থী করতে পারে না। রাষ্ট্রের দয়া ভিক্ষা নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে।  এখন প্রশ্ন এত মানুষ যে নাগরিকত্ব হারালো এরা যাবে কোথায়??? উত্তর খুব সহজ ডি ক্যাম্প। খুব সস্তা শ্রম এখন সারা বিশ্ব জুড়েই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পুঁজিবাদের কল্যানে। নাম মাত্র বা বিনামূল্যে হাড়ভাঙা খাটিয়ে নাম মাত্র খেতে চিকিৎসা দিয়ে আপনাকে বাঁচিয়ে রাখা হবে। যে ক্যাম্প গুলো জার্মানি তে হিটলার শুরু করে গেছিলেন সেই একই কায়দায় নাম পাল্টে ডিটেনশন ক্যাম্প হয়ে ফিরে এসেছে। এখনো সময় আছে গর্জে না উঠলে সর্বনাশ। একনজরে দেখে নি আসাম এর বাদ পড়া জনজাতি গুলির পরিসংখ্যান-

বাঙালী হিন্দু 6.90 লাখ

পুর্ব বাংলা বংশোদ্ভূত মুসলিম 4.86 লাখ

 গোর্খা 85,000

অসমীয়া হিন্দু 60,000

কোচ রাজবংশী 58,000

গরিয়া মরিয়া দেশি 35,000 

বোরো 20,000

করবি 9,000

রাভা 8,000

হাজং 8,000

মিসিং 7,000

অহম 3,000

গারো 2,500

মাতাক 1,500

ডিমাসা 1,100

সোনোয়াল কাছারি 1,000

মারান 900

বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী 200

নাগা 125

হামার 75

কুকি 85

থাডো 50

বাইট 85

ভারতের নাগরিক তারাই যারা 1971 এর আগের দলিল ও ঠাকুর্দার ভোটার লিস্টে নাম দেখাতে পারবে। মোট দশটা প্রমাণপত্র। 76 এর বন্যায় অনেক মানুষের অনেক কাগজপত্রই নষ্ট হয়ে গেছে তারা পারবেন তো কাগজ দেখাতে? ওপার বাংলায় মুসলিম দের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছেন সেই FIR কপিও দেখাতে হবে। যারা এসে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন সেই সংখ্যা কত? 31 হাজার 313 জন। আর সারা ভারত জুড়ে কতজন বিদেশি নাগরিকত্ব পাবেন 31 হাজার সেই 313 জন। কি মজা না।

NRC আতঙ্ক গ্রাম-শহরে ছড়িয়ে পড়ছে, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়ও নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী চিত্রটা ভয়াবহ:

এ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে NRC শহীদ ২২জন!

তথ্যসূত্র-  1- উইকিপিডিয়া ( এন আর সি)

          2- বিভিন্ন সময়ের এই সময় পত্রিকা।

          3- আ বা প - 1/9/19

          4-https://www.sabrangindia.in/article/over-7-lakh-hindus-among-those-excluded-nrc-leaked-data-suggests 

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86930